সাতক্ষীরায় চা দোকানি ইয়াসিন আলীর খণ্ডিত মাথা ৫ দিন পর উদ্ধার হয়েছে। গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ঘাতক জাকিরকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব সদস্যর টিম।
গত মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাতে দোকান থেকে কাজের কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরদিন সকালে শহরের বকচরা এলাকার বাইপাস সড়কের পাশ থেকে তার মাথা খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্বজনরা জানিয়েছেন, ব্যবসার প্রয়োজনে টাকা ধার নিয়েছিলেন ইয়াসিন। এবং কিছু টাকাও পরিশোধ করেন তিনি। বাকি টাকার জন্য তাকে চাপ দিচ্ছিলেন পাওনাদার। ১০-১২ হাজারের মতো টাকা পেতেন তিনি। দোকানে এসে হুমকি ধমকিও দিতেন সব সময় সেদিন তাকে নিয়ে যাওয়ার সময় নাইটগার্ডরা দেখছিলেন।
ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে, সাতক্ষীরা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারের পর ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধারের প্রেক্ষিতে র্যাব ৬ একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খণ্ডিত ইয়াছিনের হত্যাকারী সাতক্ষীরা অবস্থান করছে। আলীপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত জাকির হোসেন গ্রেফতার করে হয়েছে।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার সময় জাকির হোসেনকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে সাতক্ষীরা শহরতলীর কামালনগর এলাকার ব্রীজের নীচের ডোবা থেকে ইয়াসিন আলীর মাথা উদ্ধার করেছে।
কামালনগর এলাকায় আয়োজিত,প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-৬ খুলনার অধিনায়ক লে:কর্ণেল মোস্তাক মোর্শেদ জানান, জাকির হোসেন খুলনা শহরের বাচ্চু শেখের পুত্র। সাতক্ষীরা শহরের গড়েরকান্দা এলাকার বিবাহ করে দীর্ঘদিন ধরে সেখানেই বসবাস করেন।মাথা খণ্ডিত ইয়াছিন আলী মাটিতে পড়ে গেলে তখন এলোপাতাড়ী কুপিয়ে ইয়াছিনের শরীর হতে মস্তক আলাদা করেন জাকির হোসেন। পরবর্তীতে মাথা খণ্ডিত দেহ টেনে রাস্তার পার্শ্বে পানিতে ফেলে দেন। এবং ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক ১ কিলোমিটার দুরে ব্রিজের নীছে ডোবার মধ্যে মাথা ফেলে চলে যায়। এই ঘটনাটি প্রথমে ক্লু লেস ছিল। আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতায় জাকিরকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতেই আমরা চা দোকানদারী ইয়াসিন আলীর খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। তার রক্তমাখা জামাকাপড় ও উদ্ধার করা হয়েছে। যে দা দিয়ে ইয়াসীন আলীর মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সেটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।