মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন, তারপর বøাকমেইল করে চাঁদ আদাঁয়। এমন অভিযোগে মেহেরপুর শহরের অভিযান শ্রেণীর আবাসিক হোটেলের মালিক, ছেলে ও এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। গের রাতে ঐ আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলো, শহরের শিশুবাগান পাড়ার মৃত কিয়ামুদ্দীনের ছেলে হোটেল আটলান্টার মালিক মতিয়ার রহমান (৫২) তার ছেলে মামুন (৩০) ও সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের স্ত্রী ছন্দা খাতুন(৩০)।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামর জানান, শহরের অভিজাত শ্রেণির আবাসিক হোটেল আটলান্টা। তারা হোটেল ব্যবসার পাশপাশিএকটি নারী চক্র গড়ে তোলে। যার নেৃতত্বে ছিলো আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সরকারি কর্মকর্তা বা অভিজাত শ্রেণির মানুষকে সুন্দরী নারী দিয়ে প্রথমে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে জড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। তারপর সেটি ভিডিও করে বøাকমেইল করে হাতিয়ে নিচ্ছিল লাখ লাখ টাকা। এই চক্রে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ডজনখানেক সুন্দরী নারী রয়ে বলে তারা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। তারা সমাজের ধর্নাঢ্য ব্যক্তিদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে হোটেল আটলান্টিকায় নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে গোপন ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করতো। পরে সেই ভিডিও নিয়ে চাওয়া হয় মোটা অংকের টাকা।
স¤প্রতি সময়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক এনজিও কর্মীর সদর থানায় নারী চক্রের প্রধান হোতো প্রিয়া খানকে আসামি করে প্যানাল কোড ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেন (মামলা নং ৩২, তারিখ ২২/১১/২০২২ইং)। মামলা দেওয়া পর পুলিশ বিভাগ নড়ে চড়ে বসেন। শুরু হয় গোপন তথ্য সংগ্রহের কাজ।।
গত ২২ নভেম্বর বøাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার মূল হোতা নাজনীন খান প্রিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রিয়া খানকে গ্রেপ্তারের পর তাকে ২ দিনের রিমান্ড নিলে বেরিয়ে আসে এই চক্রের ভয়ংকর সব তথ্য।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছেন, নাজনীন খান প্রিয়ার দলে ৯ জন সুন্দরী নারী আছেন।
অভিযানে নেতৃত্বে দেন তদন্ত অফিসার মেজবাহ উদ্দীন আহমেদসহ সদর ও ডিবির পুলিশের একটি দল।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ চক্রের বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।