সাহেব রেজা শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ
১৫ অক্টোবর রবিবার । আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস। প্রতিবছরের মতো এবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানান আয়োজনে দিবসটি পালন করছে।
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৫ অক্টোবর রবিবার সকাল ১০ টায় বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্টান বারসিক’র সহায়তায় এবং উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে শ্যামনগর উপজেলার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে ‘জলবায়ু সংকটে বিপন্ন গ্রামীন নারীদের ক্ষতিপুরনের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে। এ সময়ে উপকুলীয় জনগোষ্টীরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিতে নারীদের অর্ন্তভুক্তি চাই, কোন কাজ ছোট নয় নারী পুরুষের সমতা চাই, সমমজুরী নীতিমালা বাস্তবায়ন চাই, বৈষম্য নয় সকল ক্ষেত্রে সমতা চাই, পারিবারিক নারী নির্যাতন বন্ধে নীতিমালা বাস্তবায়ন চাই, ছেলে হোক মেয়ে হোক সবার খাবর একই হোক, গনপরিবহনে নারীদের আসন নিশ্চিত চাই,স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাতে লবন পানি মুক্ত কাজ চাই প্রভৃতি স্লোগান দেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে জলবায়ু সংকটে গ্রামীন নারীর ক্ষতিপুরনের দাবি তুলে বারসিক কর্মকর্তা গাজী আল ইমরান এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আকবর কবীর, শ্যামনগর উপজেলা অনলাইন নিউজক্লাবের সভাপতি মারুফ হোসেন (মিলন), জয়াখালী নারী সংগঠনের সভানেত্রী নাজমুননাহার, কালমেঘা নারী , কালমেঘা নারী সংগঠনের সভানেত্রী বনশ্রী, জেলে নারী কোহিনুর, বনজীবী শেফালী বেগম, কৃষানী অল্পনা রানী মিস্ত্রি, সুজাতা রানী, জয়িতা প্রতিবন্ধী সংগঠনের অস্টমী মালো, কৃষক নেতা সিরাজুল ইসলাম, কোস্টাল ইয়থ নেটওয়ার্কের রাইসুল, শম্পা রানী, ভুরুলিয়া ইউপি সদস্যা কুলসুম বেগম সহ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন ‘আমরা নারী আমরাই পারি। বর্তমান সময়ে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা পদার্পন থাকলেও। বাস্তবিক্ষ পক্ষে নারীরা এখন অনেক পিছিয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমানোর আগ পর্যন্ত একজন নারী যে কিভ’মিকা রাখে তার হিসাব কেউ রাখে না। আমরা নারীরা আমাদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্টা করতে চাই। প্রতিনিয়ত আবহাওয়া ও জলবায় পবির্তন হচ্ছে তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ ও ভোগান্তির স্বীকার আমরা নারীরা। এখানে পানি থেকে শুরু করে খাদ্য সংগ্রহ পর্যস্ত প্রতিটি পর্যায়ে থাকছে নারীর বৈষম্য। দুর্য়োগের মাঝে টিকে থাকার জন্য তৈরি হচ্ছে নানান অবকাঠামো সেখানেই নারীকে মূল্যায়ন করা হয়নি। তাই আমরা চাই দুর্যোগের আশ্রয়ন কেন্দ্র, ইউনিয়ন পরিসদ, হাসপাতালে সকল ক্ষেত্রে হাইজিন ও ফিড কর্নার, সকল স্থানে নারী বান্ধব টয়লেট। এলাকাতে যেমন বাড়ছে সুপেয় পানির সংকট, তেমনি কমছে প্রাণবৈচিত্র্য। তৈরি হচ্ছে খাদ্য সংকট । বাড়ছে কর্মহীনতা এবং বাস্তভিটা বিচ্ছিন্ন জনগোষ্টীর সংখ্যা। আমরা উপকুলীয় নারীরা আমাদের অধিকার প্রতিষ্টা, আমাদের কাজের স্বীকৃতি সহ জলবায়ু সংকটের কারণে যে ক্ষতির স্বীকার হচ্ছি সেই ক্ষতিপুরনের দাবি জানাচ্ছি উন্নতদেশ গুলোর নিকট। সাথে গৃহস্থালী কাজে নারীর অবদানকে জাতীয় অর্থনীতিতে স্বীকৃতি জানান নীতিনির্ধারকদের কাছে।’