ডেস্ক রিপোটঃ
ভাসমান নৌকায় সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে কর্ণফুলী নদী রক্ষার ডাক এসেছে। তিন দিনের চাটগাঁইয়া সাংস্কৃতিক মেলায় আয়োজনের প্রথমদিনে ছিল ভাসমান নৌকায় ‘বিনি সূতার মালা’ অনুষ্ঠান। এছাড়াও আছে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান খেলা।
মেলার দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকাল ১১টায় ফিরিঙ্গিবাজার ব্রিজঘাট থেকে শুরু হবে সাম্পান শোভাযাত্রা। এতে পাঁচটি সাম্পান মাঝি সমিতির ৩০০ সাম্পান অংশ নেয়।
এর আগে বুধবার (১ মার্চ) বিকেলে নগরের সদরঘাট নৌকা নিয়ে চরপাথরঘাটার সাম্পানঘাট, গাইজ্জারঘাট, তোতার বাপের হাট, কালুরঘাট, বোয়ালখালী হয়ে আবার ব্রিজঘাট, অভয়মিত্রঘাট এবং বাংলাবাজারে আসেন আয়োজকরা। ভাসমান নৌকায় চলে আঞ্চলিক গান ও পাহাড়ি নৃত্য।
কর্ণফুলী দখল ও দূষণমুক্ত করার গুরুত্ব সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নদী ব্যবহারকারীদের মধ্যে উপস্থাপন করা হয়। এ সময় চট্টগ্রাম ইতিহাস সংস্কৃতি গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আলীউর রহমান বলেন, ‘কর্ণফুলী চট্টগ্রামের আড়াই হাজার বছরের ইতিহাস সংস্কৃতি ধারণ করছে। যে সংস্কৃতি সাম্পানের, গানের, ১২টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর। দেশের সংস্কৃতি ও অর্থনীতির স্বার্থে কর্ণফুলী রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
মেলা উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী ফরিদের সভাপতিত্বে ও সমন্বয়ক এস এম পেয়ার আলীর সঞ্চালনায় ডায়মন্ড সিমেন্টের পরিচালক হায়দার আলী, সাবেক কলেজ শিক্ষক ইদ্রিস আলী, মেলার প্রধান সমন্বয়ক শাহেদুর রহমান শাহেদ, চরপাথরঘাটার সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যাণ সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি জাফর আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান দয়াল বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পী সনজিত আচার্যের পরিচালনায় আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন গীতা আচার্য্য ও শীলা চৌধুরী। পলিয়ন মোবাংয়ের পরিচালনায় মারমা ও ত্রিপুরা নৃত্য পরিবেশন করেন শ্রীদেবী ত্রিপুরা ও মেমাসিং মারমা।