মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ১ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১ প্রার্থী এবং ৮ম ধাপের মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যতীত অন্য প্রার্থীরা তাদের প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন।
গত বুধবার প্রার্থীদের দায়ের করা আপিলের মাধ্যমে তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেলেন। মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে হলফনামায় স্বাক্ষর না থাকাসহ বিভিন্ন কারণে মেহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর পদে ২ নম্বর ওয়ার্ডের মিজানুর রহমান জনি, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আক্তারুল ইসলাম ও মোস্তাক আহমেদ, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইলিয়াস হোসেন ও মনিরুল ইসলাম এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নাজমুল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। পরে তারা প্রার্থিতা বাতিলের প্রতিবাদে আপেল বোর্ডে আপিল করেন। আপিল বোর্ডের শুনানি শেষে তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেলেন।
বুধবার (২৫ মে), মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ডঃ মুহাম্মদ মুনসুর আলম খান আপিল বোর্ডের প্রধান হিসেবে শুনানি শেষে তাদের প্রার্থিতা ফিরিয়ে দেন।
মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মনিরুল ইসলাম ঋণ খেলাপীর দায়ে এবং ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ফাহাদ খানের বয়স কম হওয়ায় আপিল বিভাগ মনিরুল ইসলাম ও ফাহাদ খানের প্রার্থিতায় রিটার্নিং অফিসারের দেওয়া আদেশ বহাল রাখে। সুতরাং মনিরুল ইসলাম এবং ফাহাদ খান মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশ নিতে পারছেন না। অপরদিকে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত পৌরসভা মেয়র প্রার্থী মাহফুজুর রহমান রিটনের দায়ের করা মেয়র পদের অপর প্রার্থী মোতাছিম বিল্লাহ মতু’র বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে আপিল করলে শুনানি শেষে মাহফুজুর রহমান রিটনের দায়ের করা আপিল খারিজ করে দেন।
এছাড়াও মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বোরহান উদ্দিন আহমেদ এর বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলও খারিজ করে দেন।
একইসময়ে আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আকরামুল আজিমের মনোনয়নপত্র রিটার্নিং অফিসারের রায় বহাল রাখেন। অর্থাৎ আকরামুল আজিম নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেনা না।
মেহেরপুরে আপিলের মাধ্যমে কয়েকজনের প্রার্থীতা বহাল
পূর্ববর্তী পোস্ট