সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
ডেনমার্কের রাজকুমারী ক্রাউন প্রিন্সেস মেরি এলিজাবেথ ডোনাল্ডসন তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরের শেষ দিনে আজ(বুধবার) সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাতের শিকার জনগোষ্ঠীর সাথে মতবিনিময় করেন।
রাজকুমারী মেরী এলিজাবেথ এর বহনকারী হেলিকপ্টার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে সুন্দরবন উপকূলীয় মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক স্কুল এন্ড কলেজ এর পাশে মাঠে হেলিকপ্টার এ অবতরণ করেন। পরে তিনি প্রথমে কুলতলী গ্রাম পরিদর্শনে যান এবং সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন।
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তাদের জীবনে কি ধরনের পরিবর্তন এসেছে, কি ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে ইত্যাদি বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। সাধারণ জনগোষ্ঠীর সাথে কথা বলা শেষে রাজকুমারী নিকটবর্তী একটি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার পরিদর্শনে যান এবং ঘূর্ণিঝড়ের সময় এটি কিভাবে ব্যবহার করা হয়, এর ব্যবস্থাপনা কিভাবে হয় ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা নেন।
পরে রাজকুমারী তার সফরসঙ্গীদের সাথে নিয়ে বেড়িবাঁধে যান এবং প্রচন্ড রোদের মধ্যে পায়ে হেটে সেখানে বসবাসরত জনগোষ্ঠীর সাথে কথা বলে কিভাবে তারা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কি ধরনের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছেন ইত্যাদি বোঝার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় একটি রিসোর্টে মধ্যাহ্নভোজ শেষে রাজকুমারী সুন্দরবন ভ্রমণে যান।
সেখানে তিনি বনবিভাগের কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। হেটে হেটে সুন্দরবন দেখার সময় তিনি সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় এই বনের ভূমিকা, লবণাক্ত পানির প্রভাব ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা লাভ করেন।
রাজকুমারীর সফরসঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেনমার্কের উন্নয়ন-সহায়তা মন্ত্রী ফ্লেমিং মোলার মরটেনসেন, বাংলাদেশি নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইষ্ট্রাপ পিটারসন।
রাজকুমারীর আগামন উপলক্ষে সাতক্ষীরার স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স এর তত্ত্বাবধানে নিরাপত্তার চাদরে ছেয়ে ফেলা হয়। বিকেলে তার শ্যামনগর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।