ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপনে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন। ঐতিহাসিক আম্রকানন ও মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সকে বর্ণিল সাজে সজ্জিত করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে আলোচনা সভা, যাতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি মন্ত্রিসভার সদস্যরা বক্তব্য দেবেন। মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খাঁন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মুজিবনগর সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছে। তাই এর গুরুত্ব অনেক বেশি।’ ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার মেহেরপুর জেলার তৎকালীন বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে শপথ গ্রহণ করে।
বিগত দুবছর করোনার কারনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসটি বড় পরিসরে উদযাপিত হয়নি। এ বছর পবিত্র রমজানের কারণেও সংক্ষিপ্ত পরিসরে উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
দিবসটির আনুষ্ঠানিকতায় যোগ দেবেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি.এম মোজাম্মেল হক, যুগ্ম সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, সংসদ সদস্য ফ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, গাংনীর সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
বাগোয়ান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন বলেন, ‘মুজিবনগর দিবসে সারাদেশে সরকারি ছুটির দাবি জানায় মেহেরপুরবাসী। এছাড়াও মুজিবনগর কমপ্লেক্সটি আধুনিকায়ন করার সরকারি ঘোষণার বাস্তবায়ন চান তারা।’
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহীম শাহিন বলেন, ‘সরকারিভাবে বি ক্যাটাগরির রাষ্ট্রীয় দিবস হিসাবে মুুজিবনগর দিবস পালন হবে। দিবসটি এ ক্যাটাগরির রাষ্ট্রীয় দিবস হিসাবে পালনের দাবি জানাই।’