এ বি সৌমিক আহমেদ।
গোধুলী লগ্ন,আকাশে সূর্য,ঘন কমলা রঙের, ডুবু ডুবু ভাব নদীর ধারে কমলা রঙের সচ্ছতার প্রতিচ্ছবি সে এক সতেজতার আভা। স্বচোখে দেখলে বোঝা যাবে তার সৌন্দর্যের মহিমা, অপরুপ সুন্দর।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর উপজেলার আকাশনীলা ইকো টুরিজম উদ্যান। সুন্দরবনের পাশেই এক সবুজে ঘেরা সুন্দরবনের স্বাদ। যতদূর চোখ যায় সবুজ বনায়ন। মাঝ দিয়ে কাঠের তৈরী রাস্তা,মানব দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ চোখ,আমারা চোখ দিয়ে প্রধানত তিনটা রঙ দেখি লাল,নীল, সবুজ।
সবুজ রঙ সতেজতার প্রতীক,প্রাকৃতিক সবুজ রঙ চোখের জন্য উপকারী।
কাঠের তৈরী ব্রিজের উপর দিয়ে বনায়নের মধ্যে হেঁটে চলতে রোমাঞ্চকর অনুভূতি জাগে,সবুজ সতেজ বনায়ন দোলা দেয় আমাদের মনে। অপরুপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সুন্দরবনের লবণাক্ত জলাভূমি। একটু সামনে গেলে বিশাল নদী।সন্ধ্যা নামার আগ মুহূর্তে ট্রলার এসে থেমেছে নদীর কোল ঘেষে, দর্শনার্থীরা সুন্দরবন ভ্রমণ শেষে লোকালয়ে ফিরছে। ট্রলার আর ডিঙি নৌকার সারি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো সুন্দর করে তুলেছে। পাখিদের ডাক,কোলাহলমুক্ত পরিবেশ সুন্দর, নির্মল সময় পার করতে আরো সহজ করে দেয়।
বাংলাদেশের প্রাণ সুন্দরবন। প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে এই বন ঢাল হিসাবে রক্ষা করে বাংলাদেশকে।
অনেক মানুষের জীবণ জীবিকার উৎস এই জলাভূমি।
সুন্দরবন যেমন আপন মহিমায় বেড়ে ওঠছে তার আপন আঙ্গীকে তেমনি সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পেছনে মানুষ দায়ী।
ভ্রমণপিয়াসু মানুষ সুন্দরবন ভ্রমণে আসছে কিন্তু তাদের দ্বারা সুন্দরবন দূষিত হচ্ছে।
প্লাস্টিক পন্য, মোড়ক সুন্দরবনে ফেলে আসছে মানুষ, যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে তেমন ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
আমাদের সকলের উচিত, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় সবাইকে সচেতন থাকা এবং সুন্দরবনকে আমন মহিমায় বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করা।