ফয়সাল আহম্মেদঃ
ঈদের বেশি দিন বাকি নেই। দিন দিন বাড়ছে ছাগলের চাহিদা। শধু ব্যবসায়ী নন, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মেহেরপুর বারাদিতে আসছেন কোরবানির পশু কিনতে। দাম নাগালের মধ্য থাকায় খুশি ক্রেতারাও।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা ছুটে আসছেন জেলার হাটগুলোতে। কালো ও লালচে রংয়ের ছাগলের চাহিদা বেশি থাকাই ৬ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা মূল্যের ছাগল পাওয়া যাচ্ছে এখানে। মাঝারি ধরনের ছাগলের ক্রেতা বেশি থাকে বলে এসব ছাগলের দাম একটু বেশি এবং বড় ও দৃষ্টিনন্দন ছাগলের ক্রেতাও রয়েছে বেশ।
মঙ্গলবার সকলে মেহেরপুর বারাদি ছাগলের হাট ঘুরে দেখা যায় ছাগল কেনা বেচায় ব্যাস্থ ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
ঢাকা থেকে আগত ব্যবসায়ী আসাদ হোসেন জানান, কোরবানির সময় এ অঞ্চলের হাটগুলোতে প্রচুর ছাগল আমদানি হয়। আমরাও এখানে আসি ছাগল কিনতে। এখানে সারা বছরই ছাগল পাওয়া যায়। তবে ঈদের আগে ভালোমানের ছাগলের সমারোহ বেশি থাকে।
এদিকে হাটগুলোতে অনেকেই যান কোরবানির পশু কিনতে। হাটে পর্যাপ্ত ছাগল থাকায় নিজেদের পছন্দমত ছাগল কিনতে পারছেন তারা।
ছাগল কিনতে আসা ক্রেতা শাকিব আলী জানান, ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দামের ছাগল কিনতে এসেছিলাম। বাজেট বাড়িয়ে ১৪ হাজার টাকা দামের একটি ছাগল কিনেছি।
ছাগল বিক্রি করতে আসা জাহিদুর রহমানকে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমার বাড়িতে ২ টি ছাগল ছিল। বিক্রয় করতে এসেছি সঠিক দাম এখনো পাইনি তাই বিক্রয় করি নি। তবে বিকাল প্রর্যন্ত বিক্রয় হওয়ার আশা আছে।
মেহেরপুর সদরের বাড়াদি ছাগলের হাট হাট মালিক জাকির হোসেন বলেন, বিশ্বখ্যাত ব্ল্যাকবেঙ্গল জাতের ছাগলের খোঁজে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা আসছেন জেলার ছাগলের হাটগুলোতে।
প্রতিদিন এ হাটে লক্ষ লক্ষ টাকার লেনদেন হয়। কোথাও কোনো সমস্য নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো।