সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদুল আযহার ২য় দিনে দুর্যোগ কবলিত ইউনিয়ন ১২ নং গাবুরায় ‘নর্থ আমেরিকান বাংলাদেশী ইসলামিক কমিউনিটি
(NABIC)’ এর সহযোগিতায় ব্রতীর পরিবেশনায় ৭টি গরু কুরবানী করা হয়েছে। এক কেজি করে মোট ৭০১টি দুস্থ্য পরিবারের মাঝে এই কুরবানীর মাংস বিতরণ করা হয়েছে।
ঈদুল আজহার ২য় দিন ৩০ জুন (শুক্রবার) সাতক্ষীরার দুর্যোগ কবলিত দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরায় এ বিতরণ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন
গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জি এম মাছুদুল আলম এসময়ে উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য জি এম মুনজুর হোসেন ৯ নং ওয়ার্ড,মিস ফরিদা পারভীন ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড , মাষ্টার খায়রুল আলম মিলন, ব্রতীর এরিয়া ম্যানেজার সাইফুর রহমান, সাংবাদিক সাহেব রেজা (উপকুলীয় প্রেসক্লাব) ব্রতীর সুপারভাইজার মনিরুল ইসলাম, আবু তালেব সাগর প্রমুখ।
গাবুরা ইউনিয়ন সাতক্ষীরা জেলার সর্বাপেক্ষা দারিদ্র পীড়ত ও দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত গাবুরায় হরিশখালী,চকবারা, চৌদ্দরশী, চাঁদনীমুখা খাটে মাংশ বিতরন করা হয়। এলাকাটিতে ব্রতী নাবিকের সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে শিশু পুনর্বাসন ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আয়ের মাধ্যম সুন্দরবন বন্ধ ঘোষনা ও দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি কারণে অভাবে ইউনিয়নের মানুষ খুব খারাপ অবস্থায় আছে এবং কোন রকমে জীবন ধারণ করছে। ঈদে কুরবানী করার মত তেমন কোন লোক না থাকায় কুরবানীর মাংস দুস্থ্যদর কাছে কল্পনাতীত।
এমতাবস্থায় নাবিকের সহায়তায় ৭টি গরু কুরবানী করা হয়। মোট মাংসের পরিমান ছিল ৭০১ কিলোগ্রাম। পরিবার প্রতি ১কিলোগ্রাম করে ৭০১টি পরিবারে বিতরণ করা হয়। ব্রতীর স্বেচ্ছাসেবক দলের মাধ্যমে পুর্বের
প্রস্তুত তালিকা অনুযায়ী গাবুরার ১৫ টি গ্রামের ৬টি পয়েন্টে নৌপথে এ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ইউনিয়নের ৩০০ জন এতিম বাচ্চা, ১৮০ জন দরিদ্র স্কুল বাচ্চা ও গ্রামের অসহায় ২২১ জন সহ মোট ৭০১ জন/পরিবারের মাঝে এই মাংস বিতরণ করা হয়। প্রতিবছরের ন্যায় নাবিক থেকে গাবুরার
মানুষ কুরবানীর মাংস পেয়েছে এবারও। আজ সকাল থেকে ব্রতীর সকল কর্মী ও সেচ্ছাসেবকরা কুরবানীর গরুগুলোর গোসল, জবাই, মাংস কাটা, প্যাকেটিং এর কাজ করে। বিতরণ কার্যক্রম চলে দুপুর ১টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। অনুষ্ঠান স্থলে উপস্থিত থেকে দীর্ঘদিন গাবুরায় মানবিক সহায়তার জন্য নাবিককে অভিনন্দন ও দোয়া জানান
গাবুরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জি এম মাছুদুল আলম জনগনের উদ্দেশ্যে বলেন গাবুরার মানুষ এ বছর কুরবানীতে মাংস খেতে পারিনি অভাবের কারণে। তাদের জন্য এমন সাহায্য ঈদ আনন্দ সফল করবে নিশ্চয়। এছাড়া
সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্রতীর কমিউনিটির সদস্যগণ ও সাধারণ
গ্রামবাসী। নাবিককে সবাই
ভালোবাসা জানিয়েছেন।