=======================
এম. এ. বাশার
বিভাগীয় প্রধান (ইংরেজি বিভাগ) মেহেরপুর কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ও লেখক ও সম্পাদক, ইংরেজি
=======================
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর জেলার লোকজন এমন একজন এমপির প্রয়োজন অনুভব করছিলেন যিনি হবেন অত্যন্ত সৎ, বিনয়ী, উচ্চশিক্ষিত ও পরিশ্রমী। তিনি সর্বদা সুখে দুঃখে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে কথা বলবেন এবং অসহায় লোকজনের মুখে হাসি ফোটাবেন। নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে জনগণের কল্যাণে কাজ করবেন। অকপটে কথা বলবেন চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এমনকি নিজের দলের কোন নেতা কর্মী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা শক্ত হাতে দমন করবেন। নিজের পরিবারের লোকজন যেন ক্ষমতার অপব্যবহার না করে এবং উশৃংখল না হয়ে ওঠে সেদিকে অবশ্যই কড়া নজর রাখবেন। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের গড়ে তুলবেন আদর্শিক ও নৈতিক শিক্ষা দিয়ে। কারণ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণদের ভূমিকা অপরিসীম। তরুণ সমাজ যত সৎ ও আদর্শবান হবে, সমাজ তথা দেশ তত উন্নত হবে। আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক উন্নয়ন করবেন এবং সাথে সাথে শক্ত হাতে দমন করবেন সকল সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। তিনি হবেন একজন শিক্ষা অনুরাগী মানুষ। কারণ যে দেশের জনগণ যত সুশিক্ষায় শিক্ষিত, সে জাতি তত উন্নত।
মেহেরপুরের উন্নয়ন ও সুন্দর পরিবেশে নিরাপদে বসবাসের জন্য তৃতীয় মেয়াদে মেহেরপুরের জনগণ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন কে মেহেরপুর-১ আসন থেকে এমপি হিসাবে নির্বাচিত করেছেন। অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন হলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম সহী উদ্দিন বিশ্বাসের কৃতি সন্তান। বর্তমানে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সুযোগ্য সভাপতি হলেন অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। তিনি মেহেরপুরের যথেষ্ট উন্নয়ন সাধন করেছেন। এখন তিনি অসমাপ্ত কাজগুলো দ্রুত সমাপ্ত করবেন। আর তার ফল ভোগ করবে সাধারণ জনগণ। যেমন -একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়) এর কাজ পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলে মেহেরপুরের মেধাবী শিক্ষার্থী সহ বাংলাদেশের অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী এখান থেকে বিশ্বমানের শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে এবং উচ্চ শিক্ষার আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে । এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রী অর্জন করে শিক্ষার্থীগন পরিবার, সমাজ তথা দেশের কল্যাণে আসবে। উচ্চশিক্ষা অর্জন করে আগ্রহী লোকজন এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমফিল, পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করে দেশ তথা দেশের বাইরেও অবদান রাখতে পারবেন। রেললাইন সংযোগ ও স্থলবন্দর এর কাজ পরিপূর্ণতা লাভ করলে এখানকার জনগণ পাবে ব্যাপক সুযোগ সুবিধা। সাথে সাথে এ জেলার অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থান হবে। সর্বশেষ কথা হলো এই মেঘা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়ন হলে মেহেরপুরের চিত্র অবিশ্বাস্যভাবে পরিবর্তন হয়ে যাবে। একটি কথা আজ অকপটে স্বীকার করতে হয়; অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি মেহেরপুরের সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের কাছে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য ও জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি মেহেরপুরের মানুষের চোখে একজন পরিচ্ছন্ন, কর্মঠ, সৎ, যোগ্য -মেধাবী ও উন্নত চারিত্রিক ও উচ্চ মানবিক গুণসম্পন্ন একজন মানুষ। তিনি অল্প সময়ে মেহেরপুর কে উন্নয়নে ভরপুর করে দিতে পেরেছেন এবং আরো ব্যাপক উন্নয়ন করবেন। সুতরাং আমরা সকলেই চাই তার যোগ্য নেতৃত্বে মেহেরপুর উন্নত -সমৃদ্ধ জনপদ হিসাবে গড়ে উঠুক ও সকল মানুষ এখানে মিলেমিশে সুখে-
শান্তিতে বসবাস করুক।